CRF Logo

চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড

দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে এ বছর থেকে শুরু হচ্ছে চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড প্রোগ্রাম।  এই ফান্ডের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ-১২শ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব গবেষণা প্রকল্পগুলিতে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা পেতে পারবে। ফান্ডের জন্য আবেদন করতে, তোমাকে একটি গবেষণা প্রস্তাব জমা দিতে হবে। প্রস্তাবটিতে তোমার প্রকল্পের উদ্দেশ্য, পদ্ধতি,  ফলাফলের এবং  এর সম্ভাব্য প্রভাবকে ব্যাখ্যা করতে হবে।

ফান্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ ও ভাতা  পাবে।

যেসব বিষয়ে তোমার গবেষণা প্রস্তাব জমা দিতে পারবে:

  1. Physical Science
  2. Life Science
  3. Technology & Robotics
  4. Environment & Climate Change
  5. Social Science
  6. Agriculture
  7. Education

১। আবেদন করার জন্য আগে ঠিক করতে হবে তুমি কী নিয়ে গবেষণা করতে চাও। 

২। তুমি একক  অথবা দলগতভাবে আবেদেন করতে পারবে। দলগতভাবে গবেষণা করতে চাইলে সেই দল গঠন করে ফেলতে হবে। তোমার গবেষণা দলে তুমি একজন মেন্টর বা শিক্ষকের নাম দিতে পারবে যার তত্ত্বাবধানে তুমি গবেষণা চালিয়ে নিবে। 

৩। তুমি কী নিয়ে গবেষণা করতে চাও সেটির একটি কনসেপ্ট পেপার (ধারণাপত্র) জমা দিতে হবে। কনসেপ্ট পেপার সর্বোচ্চ দুই পাতার হতে পারবে। তোমার গবেষণার শিরোনাম, গবেষণার বিষয়, কিভাবে গবেষণা করবে, এবং গবেষণার প্রভাব – এসবের সারসংক্ষেপ নিয়ে কনসেপ্ট পেপার (ধারণাপত্র) তৈরি করতে হবে। একই সাথে তোমার বা দলের সকলের নাম, স্কুল/কলেজের নাম এবং একজন মেন্টরের নাম যুক্ত করতে হবে।

 ৪। কনসেপ্ট পেপার জমা দেয়ার পর ওয়েবসাইটে তুমি জানতে পারবে তোমার কনসেপ্ট পেপার একসেপ্টেড হয়েছে কী না। এরপর তোমাকে তোমার কনসেপ্ট পেপার অনুযায়ী সম্ভাব্য খরচসহ একটি রিসার্চ প্রপোজাল বা গবেষণা প্রস্তাব তৈরি করতে হবে। যেখানে তুমি কী করতে চাও, কিভাবে করতে চাও, এই গবেষণা করলে কী ফলাফল আসতে পারে এবং এর প্রভাব কী, তা বিস্তারিত  থাকবে।
এই প্রপোজালে  তোমার কী ধরণের সরঞ্জাম, ল্যাব বা প্রশিক্ষন দরকার সেটি জানাতে হবে। একই সাথে ইকুইপমেন্টের মূল্যসহ বাজেট উল্যেখ করতে হবে।

৫। তোমার কনসেপ্ট পেপারে তোমার যে শিক্ষক বা মেন্টরের সাহায্য নিয়ে তুমি এই গবেষণা করছো, তার একটি সুপারিশপত্র বা রেফারেন্স লেটার প্রপোজালের সাথে জুড়ে দিতে হবে।

৬। কনসেপ্ট পেপার রিজেক্টেড হলে তুমি আরেকটি কনসেপ্ট পেপার জমা দিতে পারবে।

৭। তোমার গবেষণার সময়সীমা এক থেকে সর্বোচ্চ চারমাস পর্যন্ত হতে পারবে। এর মাঝেই ফলাফলসহ প্রয়োজনীয় রিপোর্ট প্রস্তুত করতে হবে। 

৮। যাদের কনসেপ্ট পেপার অ্যাকসেপ্টেড হবে, তাদের সবাইকে ‘প্রপোজাল কিভাবে লিখতে হবে’ সে বিষয়ে অনলাইনে ওয়ার্কশপ নেওয়া হবে।

৯। রিসার্চ প্রপোজাল সাবমিট করার সময়সীমা পার হবার দুই সপ্তাহ পরে, কাদের রিসার্চ ফান্ড দেয়া হবে সেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

১। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ বা সমমান পর্যায়ের  শিক্ষার্থীর জন্য এই ফান্ড প্রদান করা হবে।  

২। তিনটি বিভাগে শিক্ষার্থীরা প্রপোজাল জমা দিতে পারবে। 

ক. ৬ষ্ঠ – ৮ম
খ. ৯ম – ১০ম
গ. ১১শ – ১২শ

২।  একক বা দুইজনের দল হিসেবে তোমার গবেষণা প্রপোজাল জমা দিতে পারবে।

৩। দলগতভাবে আবেদন করলে সকল সদস্যকে অবশ্যই নিজ নিজ বিভাগের হতে হবে। 

৪। কনসেপ্ট পেপার অ্যাকসেপ্টেড হলে  শুধুমাত্র একটি প্রোপোজালই জমা দিতে পারবে। 

গবেষণা প্রস্তাবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে:

  • গবেষণার বিষয়
  • গবেষণার উদ্দেশ্য
  • গবেষণার পদ্ধতি
  • গবেষণার সময়সীমা
  • গবেষণার সম্ভাব্য ফলাফল
  • বাজেট

  • আবেদনপত্রগুলি একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা মূল্যায়ন করা হবে।
  • ফান্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

  • ফান্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ওয়ার্কশপ ও ভাতা হিসেবে ফান্ড ব্যবহার করতে পারবে।

  • ফান্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অবশ্যই চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড টিমের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
  • ফান্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অবশ্যই গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড-এর সাথে শেয়ার করতে হবে।

FAQ (Frequently Asked Questions)
চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড কি?

 চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ডের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ-১২শ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব গবেষণা প্রকল্পগুলিতে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা পাবে। দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে এ বছর থেকে শুরু হচ্ছে।

আমার কনসেপ্ট পেপার রিজেক্ট হলে আবার আবেদন করতে পারবো?

এক্সেপ্টেড হওয়া পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।

ফান্ড হিসেবে কত টাকা পাবো?

আমরা সরাসরি কোনো অর্থ প্রদান করবো না। ফান্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ ও ভাতা  পাবে।