লামিয়া তানজুম, স্বেচ্ছাসেবক, ম্যাসল্যাব
পাটের সোনালি ব্যাগ প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমেদ খান। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের পচনশীল পলিমার ব্যাগ উদ্ভোদন করেন তিনি। এ প্রকল্পকে আরো সমাদৃত করার জন্য এ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।সামনের জুলাই মাসে এ টাকা পাবেন তিনি।
নব্বই এর দশক থেকেই তিনি পাট এবং পাটের তৈরি নানান জিনিষ নিয়ে গবেষনা করছেন। ২০১৬ সালে পাটকল কর্পোরেশনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা থাকাকালীন অবস্থায় আবিষ্কার করেন সেলুলোজ থেকে বায়োপলিমার উদ্ভাবনের পদ্ধতি। পরে তা থেকেই আবিষ্কার করেন পাটের সোনালী ব্যাগ। এ সোনালি ব্যাগ নানা দেশে গবেষণা চালানো হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাগের নাম দেন ‘সোনালি ব্যাগ’।
এছাড়াও পাটের তৈরি জুটিন নামক ঢেউটিন,পাটের হেলমেট,টাইলস,ফরমালিনের বিকল্প হিসেবে অ-ক্ষতিকারক চিতোজান উদ্ভাবন করেছেন। পাট নিয়ে তার বিস্তর গবেষণার কারনে বিজ্ঞানজগতে তিনি ‘জুটম্যান’ নামেও পরিচিত। এছাড়াও চলতি বছর পাটগবেষণার কারনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য তিনি ‘স্বাধীনতা পদক’ পান। ভৌতবিজ্ঞান ও পাট গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি থেকে স্বর্ণপদক পান এবং ২০১৬ সালে জাতীয় পাট পুরস্কার অর্জন করেন। পরের বছর ফেডারেশন অব এশিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটি পুরস্কার পান।
তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন শেষে পলিমার ও তেজস্ক্রিয় রসায়নে পিএইচডি করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। এছাড়াও জার্মানির কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ডাড ফেলো ছিলেন। জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।