১। আবেদন করার জন্য আগে ঠিক করতে হবে তুমি কী নিয়ে গবেষণা করতে চাও।
২। তুমি একক অথবা দলগতভাবে আবেদেন করতে পারবে। দলগতভাবে গবেষণা করতে চাইলে সেই দল গঠন করে ফেলতে হবে। তোমার গবেষণা দলে তুমি একজন মেন্টর বা শিক্ষকের নাম দিতে পারবে যার তত্ত্বাবধানে তুমি গবেষণা চালিয়ে নিবে।
৩। তুমি কী নিয়ে গবেষণা করতে চাও সেটির একটি কনসেপ্ট পেপার (ধারণাপত্র) জমা দিতে হবে। কনসেপ্ট পেপার সর্বোচ্চ দুই পাতার হতে পারবে। তোমার গবেষণার শিরোনাম, গবেষণার বিষয়, কিভাবে গবেষণা করবে, এবং গবেষণার প্রভাব – এসবের সারসংক্ষেপ নিয়ে কনসেপ্ট পেপার (ধারণাপত্র) তৈরি করতে হবে। একই সাথে তোমার বা দলের সকলের নাম, স্কুল/কলেজের নাম এবং একজন মেন্টরের নাম যুক্ত করতে হবে।
কনসেপ্ট পেপার লেখার নিয়ম দেখতে এখানে ক্লিক করো
৪। কনসেপ্ট পেপার জমা দেয়ার পর ওয়েবসাইটে তুমি জানতে পারবে তোমার কনসেপ্ট পেপার একসেপ্টেড হয়েছে কী না। এরপর তোমাকে তোমার কনসেপ্ট পেপার অনুযায়ী সম্ভাব্য খরচসহ একটি রিসার্চ প্রপোজাল বা গবেষণা প্রস্তাব তৈরি করতে হবে। যেখানে তুমি কী করতে চাও, কিভাবে করতে চাও, এই গবেষণা করলে কী ফলাফল আসতে পারে এবং এর প্রভাব কী, তা বিস্তারিত থাকবে।
এই প্রপোজালে তোমার কী ধরণের সরঞ্জাম, ল্যাব বা প্রশিক্ষন দরকার সেটি জানাতে হবে। একই সাথে ইকুইপমেন্টের মূল্যসহ বাজেট উল্যেখ করতে হবে।
৫। তোমার কনসেপ্ট পেপারে তোমার যে শিক্ষক বা মেন্টরের সাহায্য নিয়ে তুমি এই গবেষণা করছো, তার একটি সুপারিশপত্র বা রেফারেন্স লেটার প্রপোজালের সাথে জুড়ে দিতে হবে।
৬। কনসেপ্ট পেপার রিজেক্টেড হলে তুমি আরেকটি কনসেপ্ট পেপার জমা দিতে পারবে।
৭। তোমার গবেষণার সময়সীমা এক থেকে সর্বোচ্চ চারমাস পর্যন্ত হতে পারবে। এর মাঝেই ফলাফলসহ প্রয়োজনীয় রিপোর্ট প্রস্তুত করতে হবে।
৮। যাদের কনসেপ্ট পেপার অ্যাকসেপ্টেড হবে, তাদের সবাইকে ‘প্রপোজাল কিভাবে লিখতে হবে’ সে বিষয়ে অনলাইনে ওয়ার্কশপ নেওয়া হবে।
৯। রিসার্চ প্রপোজাল সাবমিট করার সময়সীমা পার হবার দুই সপ্তাহ পরে, কাদের রিসার্চ ফান্ড দেয়া হবে সেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে।