ব্যবহারিক বিজ্ঞানের হাতেখড়ি
মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগারের একটি প্রারম্ভিক ল্যাবরেটরি কোর্স
বিজ্ঞান শুধু বইয়ে পড়ার বিষয় নয়, সত্যিকার বিজ্ঞান হল নিজের হাতে পরীক্ষা করে দেখা। কিন্তু স্কুলে বিজ্ঞানাগার না থাকায় বা সুযোগ না পাওয়ায় অনেক সময়ই বিজ্ঞানকে পড়তে হয় দৈববাণীর মত। তাই শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানাগারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে, ভবিষ্যৎ মাকসুদুল আলমদের বিজ্ঞান বোঝার চেষ্টাকে সহযোগিতা করতে মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগার (ম্যাসল্যাব)-এর সৃষ্টি।
ম্যাসল্যাবের নানা সুবিধার মধ্যে একটি হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ। যার প্রথম ধাপে থাকছে “ব্যবহারিক বিজ্ঞানের হাতেখড়ি”।
যাদের জন্য
ব্যবহারিক বিজ্ঞানের হাতেখড়ি কোর্সে অংশ নিতে পারবে ৭ম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। একটি কোর্সে সর্বোচ্চ অংশ নিতে পারবে ১০ জন।
কোর্সের ব্যাপ্তি
তিনঘণ্টা করে মোট দশ কার্যদিবস।
যা শিখবে
কোর্সটিরর মূল অংশ হবে পাঁচটি:
১. পদার্থবিজ্ঞান
২. রসায়ন
৩. জীববিজ্ঞান
৪. ইলেক্ট্রিসিটি ও ইলেক্ট্রনিক্স
৫. মাপজোখ ও পরিসংখ্যান
শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ের একেবারে শুরুর দিকের অংশগুলো হাতে-কলমে বিজ্ঞানাগারে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এই কোর্সের উদ্দেশ্য।
কোর্স সিলেবাস:
কোর্সটি এমন হবে যাতে সহজেই সপ্তম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী বিষয়গুলো বুঝতে পারে, সঙ্গে এ দিকেও খেয়াল থাকবে যাতে দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী আগ্রহ পায়। বিস্তারিত বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস।
মূল্যায়ন পদ্ধতি
প্রত্যেকটি ব্যবহারিকের শেষে শিক্ষার্থী কী শিখতে পেরেছে তার মূল্যায়ন হবে। কোর্স শেষে হবে একটি মূল্যায়ন পরীক্ষা। কোর্স সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীকে নিম্নোক্ত শর্তে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে:
১. কমপক্ষে ৮০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
২. মূল্যায়ন পরীক্ষায় অবশ্যই অংশ নিতে হবে।
৩. উপস্থিতি, দৈনিক মূল্যায়ন, রিপোর্ট জমাদান এবং মূল্যায়ন পরীক্ষায় গড়ে অন্তত ৫০ শতাংশ মার্ক পেতে হবে।
অংশগ্রহণ পদ্ধতি
আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে দশজন করে দুইটি ব্যাচে মোট ২০ জনকে সুযোগ দেওয়া হবে। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে কোর্স ফি বাবদ ২০০০/= (দুই হাজার টাকা মাত্র) বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কোর্স ফি এর মধ্যে প্রয়োজনীয় কোর্স ম্যাটেরিয়াল, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য ও সার্টিফিকেটের খরচ অন্তর্ভুক্ত।